Inhouse product
ঘি (Ghee) বাঙালি রসনার এক ঐতিহ্যবাহী উপাদান। গরম ভাত অথবা ভর্তার সাথে একটুখানি ঘি খাবারের স্বাদকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। শুধু ভাত ভর্তাই নয়, পোলাও, কোরমা বা বিরিয়ানী থেকে শুরু করে মিষ্টান্ন সব ধরনের খাবার প্রস্তুতিতেই এর ব্যবহার লক্ষ্যনীয়। এটি মূলত এক ধরনের দুগ্ধ জাত খাবার। দুধ থেকে ননী বা দুধের ক্রিম আলাদা করে তা জ্বাল দিয়ে তৈরি করা হয় এই খাবারটি। মাখনের সাথে এর একটি পার্থক্য হচ্ছে এটি রেফ্রিজারেটরে না রেখেও দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। সারাদেশের ঘি-প্রেমী মানুষের কাছে বিশুদ্ধ পাবনার ঘি নিয়মিত ভাবে পৈৗঁছে দিচ্ছি। আমাদের ঘি এর কারিগরেরা অত্যন্ত যত্ন সহকারে দক্ষ হাতে সময় নিয়ে এই ঘি তৈরি করেন। যুগের পর যুগ এই ঘি তৈরি পেশায় কাজ করার সুবাদে ঘি তৈরিতে তাদের দক্ষতা অনন্য। কয়েক প্রজন্ম ধরে চলতে থাকা ঘি তৈরির এই পেশার প্রতি ভালোবাসা থেকেই তারা ঘি তৈরি করে আসছেন। তাই আমাদের ঘি-তে শুধু স্বাদ আর পুষ্টি নয় মিশে আছে ভালোবাসা। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নিরাপাদ খাদ্য সংগ্রহ ও পুষ্টিগুন বজায় রেখে ক্রেতার হাতে সঠিক মানের পণ্য পৌছে দেওয়ায় আমাদের লক্ষ্য। |
(Ghee) কেনো আলাদা? ১। আর আমরা সবাই জানি বাংলাদেশের পাবনা অঞ্চল সেরা মানের ঘি এর জন্য প্রসিদ্ধ।এ এলাকা বাথান (গবাদিপশুর বাসস্থান, যেখানে রেখে তাদের পালন ও পরিচর্যা করা হয়) নামে সুপরিচিত। মাঠের পর মাঠ গরুর চারণভূমি, এই মাঠে্র সবুজ ঘাস খেয়ে বেড়ে ওঠা গাভীর দুধ দিয়ে তৈরি হয় আমাদের এই ঘি। এজন্য এ এলাকার দুধের মান খুবই উন্নত। ফলে পাবনা অঞ্চলজুড়ে ঘি একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। ২। উন্নত কোয়ালিটির খাঁটি দুধ থেকে তৈরি। ৩, সুদক্ষ কারিগর দ্বারা তৈরি করা হয়। ৪) স্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঘি তৈরি করা হয়। ৫। বেস্ট কোয়ালিটির ক্রিম থেকে তৈরি। ৬। কোন ধরণের ডালডা বা ভেজালের মিশ্রণ নেই। ৭। ফুড কালার, ফ্লেভার বা কেমিক্যালের মিশ্রণ নেই। ৮। উৎপাদনের সময় বিশেষ ফর্মুলা মেন্টেইন করা হয়, ফলে কোয়ালিটি হয় সেরা। |
গরুর দুধের তৈরি ঘিয়ের উপকারিতা: গরুর ঘি কোলেস্টেরলের সমস্যার চিকিৎসায় খুবই উপকারী। গরুর ঘি আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখলে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে চলুন জেনে নেওয়া যাক: ১।ঘি তে উচ্চ পরিমাণে কনজুগেটেড লিনোলেনিক অ্যাসিড রয়েছে, যা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং ক্যান্সার ও হৃদরোগের মতো জটিল রোগ প্রতিরোধ করে। ২) এতে থাকা ভিটামিন “এ”, “ই”, “ডি” এবং “কে” হাড়কে খুব শক্তিশালী করে এবং ঘি মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করে। ৩। মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে ভূমিকা রাখে। ৪) গর্ভকালীন ঘি খাওয়া অনেক উপকারী। তবে চিকিৎসকের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করে নিতে হবে। ৫।গ্যাস্ট্রিক ও হজমের সমস্যা দূর করে। ৬। চোখের জ্যাতি বাড়ায়। ৭। বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ফর্মুলেশনে ব্যবহৃত হয় ঘি। ৮। ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ৯। ঘি হলো প্রদাহ বিরোধী। ১০। ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে ঘি। ১১। ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে ঘি। এছাড়া মুখের ঘাসহ যেকোন সমস্যা দূরে রাখে। |
|