Gawa Ghee(গাওয়া ঘি) - 1 kg

(0 reviews)

Inhouse product


Price
৳1,500.00 /kg
Quantity
Total Price
Share

Reviews & Ratings

0.00 out of 5.0
(0 reviews)
There have been no reviews for this product yet.

ঘি (Ghee) বাঙালি রসনার এক ঐতিহ্যবাহী উপাদান। গরম ভাত অথবা ভর্তার সাথে একটুখানি ঘি খাবারের স্বাদকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। শুধু ভাত ভর্তাই নয়, পোলাও, কোরমা বা বিরিয়ানী থেকে শুরু করে মিষ্টান্ন সব ধরনের খাবার প্রস্তুতিতেই এর ব্যবহার লক্ষ্যনীয়। এটি মূলত এক ধরনের দুগ্ধ জাত খাবার। দুধ থেকে ননী বা দুধের ক্রিম আলাদা করে তা জ্বাল দিয়ে তৈরি করা হয় এই খাবারটি। মাখনের সাথে এর একটি পার্থক্য হচ্ছে এটি রেফ্রিজারেটরে না রেখেও দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।
সারাদেশের ঘি-প্রেমী মানুষের কাছে বিশুদ্ধ পাবনার ঘি নিয়মিত ভাবে পৈৗঁছে দিচ্ছি। আমাদের ঘি এর কারিগরেরা অত্যন্ত যত্ন সহকারে দক্ষ হাতে সময় নিয়ে এই ঘি তৈরি করেন। যুগের পর যুগ এই ঘি তৈরি পেশায় কাজ করার সুবাদে ঘি তৈরিতে তাদের দক্ষতা অনন্য। কয়েক প্রজন্ম ধরে চলতে থাকা ঘি তৈরির এই পেশার প্রতি ভালোবাসা থেকেই তারা ঘি তৈরি করে আসছেন। তাই আমাদের ঘি-তে শুধু স্বাদ আর পুষ্টি নয় মিশে আছে ভালোবাসা। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নিরাপাদ খাদ্য সংগ্রহ ও পুষ্টিগুন বজায় রেখে ক্রেতার হাতে সঠিক মানের পণ্য পৌছে দেওয়ায় আমাদের লক্ষ্য।
(Ghee) কেনো আলাদা?
১। আর আমরা সবাই জানি বাংলাদেশের পাবনা অঞ্চল সেরা মানের ঘি এর জন্য প্রসিদ্ধ।এ এলাকা বাথান (গবাদিপশুর বাসস্থান, যেখানে রেখে তাদের পালন ও পরিচর্যা করা হয়) নামে সুপরিচিত। মাঠের পর মাঠ গরুর চারণভূমি, এই মাঠে্র সবুজ ঘাস খেয়ে বেড়ে ওঠা গাভীর দুধ দিয়ে তৈরি হয় আমাদের এই ঘি। এজন্য এ এলাকার দুধের মান খুবই উন্নত। ফলে পাবনা অঞ্চলজুড়ে ঘি একটি প্রাচীন ঐতিহ্য।
২। উন্নত কোয়ালিটির খাঁটি দুধ থেকে তৈরি।
৩, সুদক্ষ কারিগর দ্বারা তৈরি করা হয়।
৪) স্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঘি তৈরি করা হয়।
৫। বেস্ট কোয়ালিটির ক্রিম থেকে তৈরি।
৬। কোন ধরণের ডালডা বা ভেজালের মিশ্রণ নেই।
৭। ফুড কালার, ফ্লেভার বা কেমিক্যালের মিশ্রণ নেই।
৮। উৎপাদনের সময় বিশেষ ফর্মুলা মেন্টেইন করা হয়, ফলে কোয়ালিটি হয় সেরা।
গরুর দুধের তৈরি ঘিয়ের উপকারিতা:
গরুর ঘি কোলেস্টেরলের সমস্যার চিকিৎসায় খুবই উপকারী। গরুর ঘি আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখলে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে চলুন জেনে নেওয়া যাক:
১।ঘি তে উচ্চ পরিমাণে কনজুগেটেড লিনোলেনিক অ্যাসিড রয়েছে, যা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং ক্যান্সার ও হৃদরোগের মতো জটিল রোগ প্রতিরোধ করে।
২) এতে থাকা ভিটামিন “এ”, “ই”, “ডি” এবং “কে” হাড়কে খুব শক্তিশালী করে এবং ঘি মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করে।
৩। মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে ভূমিকা রাখে।
৪) গর্ভকালীন ঘি খাওয়া অনেক উপকারী। তবে চিকিৎসকের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করে নিতে হবে।
৫।গ্যাস্ট্রিক ও হজমের সমস্যা দূর করে।
৬। চোখের জ্যাতি বাড়ায়।
৭। বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ফর্মুলেশনে ব্যবহৃত হয় ঘি।
৮। ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৯। ঘি হলো প্রদাহ বিরোধী।
১০। ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে ঘি।
১১। ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে ঘি। এছাড়া মুখের ঘাসহ যেকোন সমস্যা দূরে রাখে।

গাওয়া ঘি চেনার উপায়
১।ঘি খাঁটি কিনা তা বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হল একটি প্যানে গরম করা। গরম প্যানে এক চামচ ঘি দিন। যদি সাথে সাথে গলে এবং গাঢ় বাদামী রঙে পরিণত হয়, তবে এটি খাঁটি ঘি। যদি ঘি গলতে সময় লাগে হলুদ হয়ে যায় বুঝবেন আপনি ভুল করছেন। এটি খাঁটি গাওয়া ঘি নয়।
২। কিছুটা ঘি হাতের তালুতে নিয়ে ঘষে নিন। তার পর শুঁকে দেখুন। যদি কিছুক্ষণ পরে গন্ধ চলে যায়, তা হলে বুঝবেন, সেটা ভেজাল ঘি। কারণ আসল ঘিয়ের গন্ধ অনেকক্ষণ পর্যন্ত হাতে থেকে যায়। এমনকি পানি দিয়ে হাত ধোওয়ার পরেও ঘি-এর গন্ধ যায় না।
৩। হাতের তালুতে এক চামচ ঘি নিন। যদি ঘি গলতে শুরু করে, তবে তা খাঁটি। সাধারণত খাঁটি ঘি শরীরের তাপমাত্রায় গলতে থাকে।
৪। ভেজাল ঘি চেনার আরো উপায় আছে। যদি ঘি ফ্রিজে রেখে পরীক্ষা করতে না চান, তা হলে অনেকটা ঘি একটি পাত্রে নিয়ে জ্বাল দিন। প্রথমে আঁচ কমিয়ে, তার পরে আঁচ বাড়িয়ে দিন মিনিট দুয়েক জ্বাল দিয়ে নিন। হালকা ঠান্ডা করে কাঁচের জারে ভরে রাখুন। ঠান্ডা হলে যদি দেখা যায় পাত্রের নীচের দিকে সাদা জমাট বেঁধে গিয়েছে এবং উপর দিকে তেল উঠে এসেছে, তা হলে বুঝতে হবে সেটা ভেজাল ঘি। খাঁটি ঘিয়ের ক্ষেত্রে এমন হবে না।
ঘি খাওয়ার নিয়মঃ
১. এক চামচ খাঁটি ঘি, এক চামচ চিনি, কোয়ার্টার চামচ কালো গোলমরিচ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে ও শোবার সময় হালকা গরম মিষ্টি দুধ খেলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
২. শোবার সময় এক গ্লাস মিষ্টি দুধে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খেলে শরীরের শুষ্কতা ও দুর্বলতা দূর হয়, গভীর ঘুম হয়, হাড় মজবুত হয় এবং সকালে মলত্যাগ পরিষ্কার হয়।
৩. শীতকালে এর ব্যবহার শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে এবং চর্বি দূর করে।
৪. ঘি, কালো ছোলা এবং গুঁড়ো চিনি সমপরিমাণে মিশিয়ে লাড্ডু বেঁধে দিন। সকালে খালি পেটে লাড্ডু চিবিয়ে এক গ্লাস মিষ্টি সুস্বাদু দুধে চুমুক দিয়ে খেলে শ্বেতরোগে আরাম পাওয়া যায়, পুরুষের শরীর মোটা তাজা অর্থাৎ সুঠাম ও শক্তিশালী হয়।
গাওয়া ঘি সংরক্ষণ পদ্ধতি
বাতাস প্রবেশ করতে পারে না—এমন জারে ঘি রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো।
এটা রান্নাঘরের কেবিনেটে অন্ধকার ও ঠাণ্ডা স্থানে রাখতে হয়।
ঘি এর জার এয়ার টাইট হলে আর রেফ্রিজারেটরে রাখার দরকার নেই।
জারের মুখ সবসময় আটকে রাখতে হবে।
ঘি উঠাতে হবে শুকনা চামচ ব্যবহার করতে হবে।









Frequently Bought Products

All categories
Flash Sale
Todays Deal